অভিনব কৌশলে অপহরণ , রায়পুর থানা পুলিশের অভিনব কায়দায় ভিকটিম উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি
রাজশাহী থেকে ছেলের চাকরির খোঁজে এসে অভিনব কৌশলে অপহরণের শিকার হয়েছেন নাজমা আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধূ।
নাজমা বেগম (৪০), পিতা-মৃত আঃ জলিল, স্বামী-নুর মোহাম্মদ, সাং-শিরইল কলোনী, ১৯ নং ওয়ার্ড, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর স্থায়ী বাসিন্দা ।
পুলিশ সূত্র ও ভুক্তভোগী নাজমা বেগম জানান, বড় ছেলে শাহিনুর রহমান বেকার থাকায় চাকরির সন্ধান করছিলেন। হঠাৎ একটি চাকরির লোভনীয় অফার পান লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে। সেই সূত্র ধরে নাজমা ও মেয়ে নাজমুন নাহার সুমিকে নিয়ে শনিবার রাজশাহী থেকে বাসযোগে বিকালে রায়পুরে আসেন।
নাজমা বেগম এর সাথে ফেইসবুকে ডাঃ আনোয়ার হোসেন খাঁন এমপি নামক ফেইক একাউন্ট এর এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে উক্ত ফেইসবুকে নামধারী ব্যক্তি নাজমা আক্তারের ছেলে শাহিনুর রহমানকে চাকুরি দিবে বলিয়া প্রলোভনে প্রলুদ্ধ করে এবং তাকে রায়পুরে আসার জন্য বলিলে, তিনি তাহার ছেলে শাহিনুর রহমান ও মেয়ে নাজমুন নাহারকে নিয়া গত ৩০/০৭/২০২২ইং রোজ শনিবার সন্ধ্যা অনুমান ০৭:০০ ঘটিকা হইতে ০৭:২০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল রায়পুর থানাধীন রায়পুর টু লক্ষ্মীপুর সিএনজি স্টেশনের পাশে ট্রাফিক মোড়ে আসে। তখন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি/ব্যক্তিরা নাজমা আক্তারের সাথে একা কথা বলবে বলিয়া কৌশলে তাহাকে রামগঞ্জ থানাধীন মাছিমপুর থানা এলাকায় একটি বাসায় নিয়া আটক করিয়া রাখে এবং নাজমা আক্তারের মোবাইল থেকে তাহার ছেলে শাহিনুর রহমানের মোবাইলে ফোন করিয়া একলক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। উক্ত টাকা না দিলে অপহরনকারী নাজমা আক্তারকে খুন করিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে।
পরবর্তীতে নাজমা আক্তারের মেয়ে ও ছেলে রায়পুর থানায় আসিয়া মৌখিকভাবে অভিযোগ জানাইলে তাৎক্ষনিক অফিসার ইনচার্জ জনাব শিপন বড়ুয়া তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করিয়া ভিকটিমের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরিয়া তাহাদের অবস্থান সনাক্ত করে। অফিসার ইনচার্জ শিপন বড়ুয়া এর নেতৃত্বে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ও রায়পুর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া রামগঞ্জ থানাধীন মাছিমপুর এলাকা হইতে ভিকটিমকে সুস্থ্য শরীরে উদ্ধার করেন এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে তাহার ছেলে ও মেয়ের নিকট জিম্মায় প্রদান করা হয়।