নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ফেনী থেকে নিখোঁজ লক্ষ্মীপুরের স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা বরকত উল্যাহকে দেশীয় এলজি ও ১ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবী করেছে পুলিশ।
ওসি জানান, বরকত সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, হারুন হত্যাসহ ৮টি মামলার আসামি বরকত। তবে হত্যা মামলার তিনি এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। গ্রেপ্তারের পর ১৬৪ ধারায় আদালতে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, বরকতের মা সালেহা বেগম, বড় ভাই সালাহ উদ্দিন ও বোন বিউটি বেগমের দাবি, ১৯ ডিসেম্বর (রোববার) রাতে চট্টগ্রাম থেকে আসার পথে ফেনীতে রিজার্ভ গাড়ি থেকে নামিয়ে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ পরিচয়ে বরকতকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই মুঠোফোনে বিউটিকে বরকত বিষয়টি জানান। এরপরই তার (বরকত) ফোন বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বরকতের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে পরিবার।
অন্যদিকে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রাম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বরকতকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি পুলিশের। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
বরকত বশিকপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে।
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট (বুধবার) রাতে বশিকপুরের আলমপুর গ্রামে চা দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা হারুনকে মুখোশধারীরা কুপিয়ে আহত করে। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে কুমিল্লায় তিনি মারা যান। হত্যার ঘটনায় পরদিন নিহত হারুনের ছেলে আল-আমিন চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।